নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষনা দেওয়ার পর সারাদেশে প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা নড়ে চড়ে বসেন। শুরু হয় দেশ ব্যপি মাদক বিরোধী অভিযান। পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী। বর্তমানেও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। তবে…?
সম্প্রতী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাদকের গড ফাদারারা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী থানাধিন চৌমহিনি, টাংগন এলাকায় প্রায় ২৪ ঘন্টাই দামি-দামি মোটরসাইকেল হাকিয়ে উঠতি বয়সের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার যুবকদের আসা যাওয়া লেগেই থাকে।
একাধিক যুবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেখানে ফেন্সিডিলটা ১নম্বর পাওয়া যায়। আর দামটাও রাজশাহী নগরীর ডাসমারী, আজিজুলের মোড়, মিজানের মোড় ও শ্যামপুর এলাকার চেয়ে প্রায় ১শত টাকা কম। পুলিশের অভিযান চলছে তারপরও ভয় লাগেনা ? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, রাস্তায় ধরলে ২/৩শত টাকা দিলেই ছেড়ে।
তাছাড়া আমরা তো পকেটে করে ফেন্সিডিল আনিনা। যা থাকে সবই পেটের ভেতর। ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: সাথি, চায়না, বিলকিস, কালু, সোনীয়া, আসাদুল, রেজাউল, সাজ্জাদ, আনিস, হান্নান, মিলন, সাদ্দাম, আকু, আসরাফ, সাহানুর, পাতলা ডাগু, গালকাটা লিটন, ফরিদ, তজিবার, হাতকাটা রফিক, (হাওয়া, রিপন দুই পার্টনার), ও মাসুম টাংগন পুর্বপাড়া এলাকার জাহিদ। এরা লাগামহীন ভাবে আজও চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা।
এদিকে চারঘাট থানাধীন ইউসুফপুর এলাকার মুক্তার ওরফে মুক্তানের ছেলে মাসুম ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে কৃষক থেকে লাখোপতি। ১৬ বছর বয়স থেকে ফেন্সিডিলের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা চালিয়ে আসছে সে। তার ৪/৫জন কর্মচারীর জিরো টলারেন্সের যুগেও দেশিয় অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে পুলিশ তাকে ধরতে গেলে পুলিশের উপর হামলা করেছে মাসুম।
এতই বেপরোয়া ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির মানুষ মাসুম যে, তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুললেই বিপদ। হয় দেহ ত্যাগ নইলে গ্রাম ত্যাগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ওই এলাকার এক রফিকুল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত নামের এক শিক্ষার্থী মাসুমের ভক্ত হয়ে আজ মাদকাশক্ত নিয়াময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে ইউসুফপুর সিপাইপাড়া এলাকায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা ২৪ ঘন্টাই মাদক সেবিদের যাতায়াত আর ২৪ ঘন্টাই মাদকের কেনা বেচা এ এলাকার আদি ব্যবসা। সাধারন বাসিন্দরা তাদের উঠতি বয়সী যুবকদের নিয়ে চিন্তায় থাকেন।
গত ১০ বছর পূর্বেও এ এলাকায় ১০টি মাদক সেবি ছিলোনা। স্থানীয়রা বলছে, বর্তমানে অধিকাংশ যুবকরাই মাদকসেবি। প্রতিবাদ করতে গেলেই মাদক দিয়ে ধরানোসহ নানা ধরনের প্রাননাশের হুমকি দেয় মাদক ব্যবসায়ীরা। এ এলাকার মাদক বিক্রেতারা হলো: মোঃ টিটুল (৩৫) পিতাঃ মৃত আব্দুর রহমান, মামুন (কালু) ৩২ পিতা: মৃত মুকতান, আজিজুর, (৩৫) পিতাঃ ইব্রাহীম, সাহাবুদ্দিন (৩৫), সুমন (৩২) পিতাঃ রশিদ, জামিরুল ইসলাম জামু (৩৬) পিতাঃ মৃত দাঈদ মন্ডল, জোয়াদ (৩৬), সাইদুল (৩৮) আলো, জিন্নাহ্ (৪৩)।
এ বিয়য়ে জানতে চাইলে চাইলে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোন মাদক ব্যবসায়ীকেই ছাড় দেয়া হবেনা।
সার্কেল এসপি নূরে আলম বলেন, মাসুমের নাম শুনেছি। তবে নির্ভর যোগ্য তথ্যর অভাবে অভিযান চালিয়েও তাকে আটক করা যায়না। তবে আটকের চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।
রাজশাহীর সময় ডট কম -২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.